বেঁচে থাকার জন্য দেহের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো রক্ত। রক্ত ছাড়া কোনো প্রাণীরই বেঁচে থাকা অসম্ভব। শরীরের মোট ওজনের শতকরা ৭ ভাগ রক্ত, যার ৯২ ভাগই জলীয় পদার্থ।
রক্তের ৩২টি ভিন্ন ভিন্ন বিভাজন থাকলেও ব্যবহারিক দিক থেকে রক্তকে প্রধানত ‘এ’, ‘বি’ ‘ও’ এবং ‘আরএইচডি’ এন্টিজেন এই দু’টি উপায়ে ভাগ করা হয়। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া মানুষের রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন হয় না।
জানেন কি, রক্তের গ্রুপের মাধ্যমে জানা যায় আমাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। কি অবাক হচ্ছেন! অবাক হলেও সত্যি।
বিভিন্ন প্রকারের গবেষণার মাধ্যমে রক্তের গ্রুপের সঙ্গে মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের যোগসূত্র খোঁজা হয়েছে এবং সবদিকে মিল না হলেও প্রতিটি গ্রুপের মানুষের কিছু কমন বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেছে। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক যাক সে সম্পর্কে-
ব্লাড গ্রুপ এ
শতকরা ৩৪ ভাগ জন গোষ্ঠীর ব্লাড গ্রুপ ‘এ’ পজেটিভ। ‘এ নেগেটিভ’ ব্লাড গ্রুপের লোক সংখ্যা শতকরা ৬ ভাগ। এই ব্লাড গ্রুপের মানুষ গোছগাছ প্রিয়, দক্ষ চাকুরে এবং খুঁতখুতে স্বভাবের হয়ে থাকে, এরা আত্মকেন্দ্রিক, সুবিচারক, শান্ত, নিয়মতান্ত্রিক, বিশ্বস্ত, নিয়মানুবর্তী ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
ব্লাড গ্রুপ বি
শতকরা ৯ ভাগ জন গোষ্ঠীর ব্লাড গ্রুপ ‘বি পজেটিভ’ এবং ‘বি নেগেটিভ’ এর ক্ষেত্রে এই হার মাত্র ২ ভাগ। এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা স্বাধীনতচেতা, মেধাবী, নমনীয়, মনোযোগী, স্বাস্থ্যবান, সরল, দক্ষ, পরিকল্পনাবাদী, বাস্তববাদী, আবেগপ্রবণ এবং খুব বেশি রোমান্টিক হয়ে থাকে।
ব্লাড গ্রুপ এবি
শতকরা ৪ ভাগ লোকের রক্তের গ্রুপ ‘এবি’ পজেটিভ এবং মাত্র ১ ভাগ লোকের রক্তের গ্রুপ ‘এবি নেগেটিভ’। এই ব্লাড গ্রুপের মানুষ সাধারণত সুবিবেচক, বুদ্ধি সম্পন্ন, হিসাবি, পরিকল্পনাবাদী, কৌশলী, সংবেদনশীল, সৎ, নিরেট এবং খুব চমৎকার সাংগঠনিক হয়ে থাকে।
ব্লাড গ্রুপ ও
মোট জনসংখ্যার শতকরা ৩৮ ভাগের রক্তের গ্রুপ ‘ও’ পজেটিভ এবং শতকরা ৬ ভাগের ‘ও’ নেগেটিভ। এই ব্লাড গ্রুপের মানুষ স্বচ্ছ দৃষ্টি সম্পন্ন, গভীর মনোযোগী, স্বাস্থ্যবান, বাকপটু, বাস্তববাদী, রোমান্টিক এবং অত্যন্ত বুদ্ধিমান হয়ে থাকে।
রক্তের গ্রুপের সঙ্গে বিবাহের যোগসূত্র
বিবাহের পূর্বে পাত্র-পাত্রীর রক্তের গ্রুপ জানা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে রক্তে ‘আরএইচ’ অসামঞ্জস্যতা সম্পর্কে অনুমান করা সম্ভব হয়। ‘আরএইচ পজেটিভ’ ও ‘আরএইচ নেগেটিভ’ পাত্র-পাত্রীর বিবাহ হলে ‘আরএইচ’ অসামঞ্জস্য হতে পারে। স্বামী-স্ত্রীর ‘আরএইচ অসামঞ্জস্য’ হলে তাদের সন্তানের নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি হতে পারে রক্ত স্বল্পতা, মারাত্মক জন্ডিস প্রভৃতি রোগ। তাই সন্তান ধারণের পূর্বেই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।