প্রেমে পড়লে এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়। ব্যক্তি অন্য জগতে বিচরণ করতে থাকে। প্রেমে পড়লে ব্যাপারটা যতখানি না হৃদয়কেন্দ্রিক তার চেয়ে বেশি নির্ভরশীল মস্তিষ্কের কারসাজির উপরে। খাঁটি বাংলায় বলতে গেলে, প্রেমের ক্ষেত্রে নাটের গুরু হচ্ছে মস্তিষ্ক।
একজন প্রেমিকের (বা প্রেমিকার) মস্তিষ্ক
যখন কেউ প্রেমে পড়ে তখন দেহে হরমোন বা ভালো রকমের রাসায়নিক নিঃসরণের প্লাবন ঘটে। তাইতো প্রেমে পড়লে হৃদপিন্ডে স্পন্দন বেড়ে যায় মানে যাকে হৃদয়ের ধুকপুকানি বলে আর কি।
দুটো মানুষ একে অন্যের যখন প্রেমে পড়ে তখন তাদের শরীরে ডোপামিন (dopamine), এড্রেনালিন (adrenalin) , নোরেপিনেফ্রিন (norepinephrine) নামক হরমোনের নিঃসরণ বেড়ে যায়।
ডোপামিন হরমোন সুখানুভূতির উত্তেজনা সৃষ্টি করে, এড্রেনালিন এবং নোরেপিনেফ্রিন যৌথ প্রযোজনায় হৃদপিন্ডে স্পন্দন (heart bit) বাড়িয়ে দেয়। আর এই সামগ্রিক অবস্থা মিলিয়ে ব্যক্তি ভালবাসার দারুণ অনুভূতির আকাশে ভাসতে থাকে।
মস্তিষ্কের একেকটি অংশ একেক রকম কাজে নিয়োজিত থাকে। প্রেমে পড়লে মস্তিষ্কের কোন অংশ ভূমিকা রাখে- তা জানার আগ্রহ স্বাভাবিক। একদল বিজ্ঞানী এই আগ্রহকে পুঁজি করে একটি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত করেন।
তারা ২১-৩৭ বছর বয়সী প্রায় ১৭ জন স্বেচ্ছাসেবক নারী-পুরুষ বাছাই করেন। এই অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকেই জানায়- তারা সত্যিকার গভীর প্রেমের সাগরে নিমজ্জিত এবং তাদের সঙ্গীকে পাগলের মতো ভালবাসে। গবেষক দল তাদের উপর যে পরীক্ষা চালান তা ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স ইমেজিং (MRI) যন্ত্রে পর্যবেক্ষণ করেন। পরীক্ষা ছিল এরকম-
প্রত্যেক স্বেচ্ছাসেবককে তাদের ভালবাসার সঙ্গীর ছবি দেয়া হয়। বলা হয়, একদৃষ্টিতে ছবির দিকে তাকিয়ে থাকার জন্য। তাদের তাকিয়ে থাকার সময়কাল স্ক্যানে দেখলে দেখা যায় যে, ঠিক ওইসময় সবার মস্তিষ্কের কিছু নির্দিষ্ট অংশ উদ্দীপিত হয়ে উঠে। সেই অংশগুলো হল- হিপ্পোকাম্পাস (hippocampus), মেডিয়াল ইনসুলা (medial insula), এন্টেরিয়র সিংগুলেট কর্টেক্স (anterior cingulate cortex) এবং ডর্সাল স্ট্রেইটামের (dorsal straitum) এর কিছু অংশ। একি সাথে গবেষকরা এটাও লক্ষ্য করেন যে, মস্তিষ্কের উল্লেখযোগ্য কিছু অংশ সে সময় নিষ্ক্রিয় থাকে। সেগুলো হলো- ডান প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্স (right pre-frontal cortex), দ্বি-খন্ডীয় পেরিয়েটাল কর্টেক্স (bilateral parietal cortex) এবং টেম্পোরাল কর্টেক্স (temporal cortex)।
মস্তিষ্কের ডর্সাল স্ট্রেইটাম অংশ ভালবাসার মানুষের প্রতি প্রবল আগ্রহ বা একধরনের পজিটিভ শক্তি সঞ্চার করে- আশেপাশের অন্যান্য মানুষের চেয়ে বেশি।
ঠিক এইজন্য প্রবাদ আছে- ‘প্রেম অন্ধ’! প্রেমে পড়লে একমাত্র সেই ভালবাসার মানুষটিই মুখ্য হয়ে উঠে, আপন মনে হয়, ভালো লাগে সবচেয়ে বেশি। বাকি অন্যান্য সবার আবেদন তুচ্ছ হয়ে যায় ব্যক্তির কাছে।প্রেমের প্রথম দিকে ব্যক্তি তার সঙ্গীকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে, তাকে সবার আগে প্রাধান্য দিয়ে আগলে রাখতে চায়। আর এই আগলে রাখার প্রবণতা কখনোবা তাকে অত্যাধিক অধিকার খাটাতে প্রভাবিত করে। প্রভুত্ব বা নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায় ভালবাসার মানুষের সকল কাজে। ভুল বুঝবেন না, এসব স্বাভাবিক। এইসব হয়ে থাকে কম পরিমাণে নিঃসৃত হওয়া সেরোটোনিন (serotonin) হরমোনের অভাবে। এই হরমোন কমে যাওয়ার ফলে ব্যক্তি ক্ষুধার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, জাগতিক সবকিছু থেকে আগ্রহ নিবৃত্ত হতে থাকে। ডোপামিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গেলে সেরোটোনিন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়।
উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাক-
ধরুন, আপনি একজনকে প্রচন্ড ভালবাসেন। তার সঙ্গলাভে অন্য রকম তৃপ্তি অনুভব করেন। এসময় আসলে, আপনার শরীরে ডোপামিন হরমোন বেশি নিঃসৃত হয়। প্রেম চলাকালীন সময়ে আপনার দূরে কোথাও ভালো চাকুরীর অফার আসলো বা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ থেকে বৃত্তির খবর আসলো। আপনার শরীরে সেরোটোনিন হরমোন কমে যাবার কারণে, আপনার কাছে ভাল চাকুরী, বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিষয় গৌণ হয়ে যাবে ভালবাসার মানুষের কাছে। আপনার কাছে মুখ্য হয়ে উঠবে তার কাছাকাছি থাকা। তাকে রেখে বাকি কিছুতেই আপনার আগ্রহ কাজ করবে না।
বলা হয়, প্রেমে পড়লে মানুষ সাহসী হয়ে যায়। দরকার পড়লে বাঘের ডেরায় গিয়ে হানা দিতে পিছপা হয় না। বলতে গেলে, ধরাকে সরা জ্ঞান করে আর কি। এর পিছনেও কিন্তু কারণ আছে।
ভালবাসা চলাকালীন সময়ে মস্তিষ্কের একটি অংশ- যার নাম এমাইগডালা (amygdala), তা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। মূলত এই অংশ মানুষকে ভয়ের ব্যাপারে সতর্ক করে তোলে বিপদজনক পরিস্থিতি থেকে, নিজেকে সুরক্ষিত রাখার বার্তা দিয়ে থাকে । যখন এটা নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকে তখনি প্রেমিক বা প্রেমিকা অপ্রতিরোধ্য মননে বিশ্বাসী হয়ে উঠে।
ভালবাসার বিভিন্ন পর্যায়
তিনটি ধাপে প্রেমের সময়কে বিভক্ত করা যায়। যথাক্রমে কাম (lust), মোহ (attraction), এবং ঘনিষ্ঠতা (adjustment)। প্রেমে যখন আকাঙ্ক্ষা জন্মায়, তখন এই আকাঙ্ক্ষা মস্তিষ্কের স্ট্রেইটাম অংশকে সক্রিয় করে তোলে। এই অংশ স্বয়ংক্রিয় পুরস্কার (automated reward) অনুভূতিকে উদ্দীপিত করে- যা সাধারণত খাবার খাওয়া, পান করা এবং যৌনতাকে (sex)প্রভাবিত করে। কথায় আছে, যৌনতা প্রেমের একটি অংশ (lust is a part of love)।
‘ভালবাসা এক ধরনের অভ্যাস- যা যৌনাকাঙ্ক্ষা থেকে উদ্ভুত এবং এটা আকাঙ্ক্ষাকে পুরস্কৃত করার অন্যতম মাধ্যম।’
অধ্যাপক জিম ফাউস
মোহ বা আকর্ষণের সময় দেহে রক্ত চলাচল অতিরিক্ত মাত্রায় বেড়ে যায় মস্তিষ্কের তৃপ্তি বা আনন্দের উৎসে। আর তাই আমরা অত্যাধিক পরিমাণে আকৃষ্ট হয়ে পড়ি সঙ্গীর প্রতি।
ঘনিষ্ঠতার ধাপে, ব্যক্তির আচরণে কিছুটা ম্লান অভিব্যক্তি দেখা যায়। ধীরে ধীরে শরীর তখন আনন্দ উত্তেজক হরমোনের সাথে মানিয়ে (tolerance) নিতে শুরু করে। দেহে এন্ডোরফিন (endorphin), ভ্যাসোপেসিন (vasopressin), অক্সিটোসিন (oxytocin) হরমোনের প্লাবন ঘটে থাকে। সবকিছু মিলিয়ে শরীরে একটি সুন্দর বার্তা সঞ্চারিত হতে থাকে আস্থা, নিরাপত্তার। যা সামগ্রিক অর্থে একটি দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের চলার পথ সুগম করে তোলে।
প্রেমে ব্যর্থতায় মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়া
‘প্রেমের মরা জলে ডোবে না।’ আসলেই কি তাই? প্রেমে পড়া যেমন সুখকর অনুভূতি তেমনি প্রেমে ব্যর্থ হওয়া এক অসহ্যকর অনুভূতি। কেউ কেউ তো আত্মহত্যা করতে চায় বিরহে। এমনকি করেও ফেলে, যার উদাহরণ ভুরিভুরি। কিছুদিন আগে যে মানুষটার জন্য হাজার বছর বাঁচার শখ জাগতো, তার প্রস্থানে কেন তবে এত কষ্টের আগমন ? হয়তোবা ‘প্রস্থানেই দেবো না বিদায়‘- এই কাব্যিক গূঢ় কথায় বিশ্বাস রেখে অটল থাকে মানুষ। খানিকটা অস্বাভাবিক মনে হলেও মস্তিষ্কের এইরকম স্থিতি হওয়া ব্যতিক্রম কোন ঘটনা নয়। মস্তিষ্কের যে অংশগুলো সুখের জোয়ারে ভাসতে ভূমিকা রাখে ঠিক একই অংশগুলোই জড়িত থাকে দুঃখের সাগরে হাবুডুবু খেতে। প্রেমে ব্যর্থ হলে মানুষ যে সমস্ত আচরণ করে তার ব্যাখ্যা খুঁজতে একদল গবেষক একটি পরীক্ষা পরিচালনা করেন। চলুন, সে পরীক্ষাটি ব্যাখ্যা করা যাকঃ-
গবেষণার জন্য কলেজ পড়ুয়া মধ্যম বয়সী ১৫ জন স্বেচ্ছাসেবক যুবক-যুবতী বাছাই করা হয়। ঠিক তাদেরকেই নেয়া হয় যারা কিছুদিন আগেও গভীর প্রেমে আচ্ছন্ন ছিল এবং ইদানীংকালে প্রেমে ব্যর্থ হয়েছে। এই সম্পূর্ণ প্রতিক্রিয়া সংরক্ষণ করা হয় একধরণের ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স ইমেজিং যন্ত্রে (functinal Magnetic Resonance Imaging বা fMRI)। স্বেচ্ছাসেবকদের প্রত্যাখ্যাত হবার প্রথমদিক থেকে শুরু করে প্রায় ৬৩ দিন পর্যন্ত তাদের উপর নজর রাখা হয়। বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, তীব্র ভালবাসার মাপকাঠি (Passionate love scale) নামক একটি মানসিক পরীক্ষায় প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীই সর্বোচ্চ ফলাফল করে।এই পরীক্ষায় পরিমাপ করা হয় – ঐকান্তিক ভালবাসার অনুভূতিকে।
প্রত্যকে প্রতিযোগীই জানায়, তারা জেগে থাকার প্রায় ৮৫ শতাংশ সময়ে সেই মানুষের কথাই চিন্তা করতে থাকে যে তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের প্রত্যাশা থাকে যে পছন্দের মানুষটিও তাকে নিয়ে ভাবছে, হয়তো ডাক দিয়ে ফের কাছে টানবে এবং তারা আবার একসাথে থাকবে। এরপর, প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে তাদের প্রাক্তন ভালবাসার মানুষের ছবি দেখানো হয়। একই সময়ে তাদের একটি সহজ অংক করতে দেয়া হয় বা গণনা করতে বলা হয়। যেমন, প্রত্যেককে বলা একটি সংখ্যাকে নির্দিষ্ট ধরে ক্রমান্বয়ে চার সংখ্যা করে পেছনে গুণতে। ধরুন, সংখ্যাটি বলা হলো ১০০। এরপর গুণতে বলা হয় এভাবে ১০০,৯৬,৯২,৮৮,৮৪…. । এই কাজটি করা হয়- অংশগ্রহণকারীর মস্তিষ্ককে রোমান্টিক অনুভূতি থেকে খানিক বিচ্ছিন্ন করতে। সে চোখে দেখছে ভালবাসার মানুষের ছবি কিন্তু গুণতে হচ্ছে সংখ্যা তাও আবার পেছনের দিক। স্বাভাবিকভাবে মস্তিষ্ক ব্যস্ত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকার শেষের দিকে, প্রত্যেককে এবার এমন একজন নিরপেক্ষ মানুষের ছবি দেখানো হয় যে পরিচিত। এই যেমন ধরুন, দেখানো হলো বন্ধুর ভাইয়ের ছবি, পাড়ার দোকানদারের ছবি অথবা প্রতিবেশীর ছবি।
এবার ফলাফল জানার পালা। গবেষকরা এই পুরো সময় লক্ষ্য করে দেখেন যে, যখন অংশগ্রহণকারীদের তাদের প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার ছবি দেখানো হয়- তখন মস্তিষ্কের কিছু নির্দিষ্ট অংশ উদ্দীপিত হয়ে উঠে। কিন্তু পরিচিত মানুষের ছবি দেখানোর সময় সেই অংশগুলো ওই অর্থে সাড়া দেয়নি। মস্তিষ্কের যে অংশগুলো উদ্দীপিত হয়ে উঠেঃ-
- মধ্য-মস্তিষ্কের ভেন্ট্রাল টেগমেন্টাল অঞ্চল( ventral tegmental area বা VTA)। যা সাধারণত অনুপ্রেরণা, পুরস্কার এবং রোমান্টিক অনুভূতিতে ভূমিকা রাখে।
- নিউক্লিয়াস একাম্বেনস (nucleus accumbens) এবং প্রি-ফ্রন্টাল কর্টেক্স অংশ। যা বিভিন্নপ্রকার আসক্তি, ক্ষুধার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। যেমন- নেশায় আসক্তি বা মাদকাসক্তি।
- ইনসুলার কর্টেক্স (insular cortex) এবং এন্টেরিয়র সিংগুলেট (anterior cingulate)। এগুলো যৌথভাবে শারীরিক কষ্ট এবং হতাশায় সাড়া দিয়ে থাকে।
এসব ফলাফল বিশ্লেষণ করে, গবেষকগণ একটি সারাংশে উপনীত হনঃ- “প্রেমময় ভালবাসা এক ধরনের লক্ষ্য সমন্বিত অনুপ্রেরণা বা উৎসাহের অবস্থা। প্রেমে ব্যর্থতা একটি নির্দিষ্ট রকমের আসক্তিতে রুপ নেয়।”
যারা প্রেমে ব্যর্থ হয়, তারা প্রতিনিয়ত নিজের সাথে টিকে থাকার যুদ্ধ করে যায়। মনোদৈহিক সংঘর্ষের এই সময়টায় সে জড়িয়ে যায় বিভিন্ন আসক্তির সাথে। কখনোবা মাদকের প্রতি আবার কখনোবা জীবনের প্রতি বিক্ষুব্ধ বিতৃষ্ণা থেকে আত্মহত্যার প্রতি। প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হলে ব্যক্তি তার সঙ্গীকে ভুলে যায় না বরঞ্চ আগের চেয়ে বেশি অনুভব করতে শুরু করে। তার কথা অহর্নিশ ভাবতে থাকে বিধায়, তাকে কাছে না পাওয়ার আক্ষেপ ব্যক্তিকে হতাশার সমুদ্রে নিমজ্জিত করে। গবেষকরা মনে করেন, আমাদের একটি হাত বা পা ভেঙ্গে গেলে আমরা যে কষ্ট পাই তার চেয়ে বেশি দুঃখ পাই প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হলে। এমনকি অনেক বছর পরেও ভালবাসার মানুষকে হারানোর কষ্ট ফিরে ফিরে আসে। একটু ভালোভাবে খেয়াল করলে, এর থেকে সাময়িক সমাধান কিন্তু জাজ্জ্বল্যমান।
- প্রেমে ব্যর্থ হওয়া মানেই সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়া নয়। এটা একটা অংশ মাত্র জীবনের।
- চোখের আড়াল হলেই মনের আড়াল। কথাটা মেনে নিয়ে প্রাক্তন সঙ্গীর স্মৃতি মনে না করা। তার ছবি কাছে থাকলে তা সরিয়ে ফেলা।
সর্বোপরি প্রেম, ভালবাসা মানসিক এক স্থিতির নাম। মস্তিষ্ক তার সুনিপুণ দক্ষতায় এই পুরো প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে চলেছে।
তথ্যসূত্রঃ-
১. What falling in love does to your heart and brain
২. What does love do to our brains?
৩.Romantic rejection stimulates areas of brain involved in motivation, reward and addiction
ফিচার ছবিসূত্রঃ- Training Your Emotional Brain: From Science Fiction to Neuroscience