মেয়েদের ঋতুচক্র কাজ করে যেভাবে

 ঋতুস্রাব (menstruation) হলো যোনি রক্তপাত যা প্রতিমাসে ঘটে থাকে। এটি নারীদেহে ঘটে যাওয়া সম্পূর্ণ প্রকৃতিক এবং স্বভাবিক একটা শরীরকার্য। মুলতঃ জরায়ুর আস্তরণ (endometrium) রক্তপাতের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়াকে ঋতুস্রাব বলা যেতে পারে। আর এই পুরো প্রক্রিয়া চলাকালীন সময়ই হলো ঋতুচক্র (menstrual period)। তাছাড়া এটিকে মাসিক, কুসুম, রজঃস্রাব, menses, menstrual period, period সহ নানা নামেও ডাকা হয়ে থাকে।

জরায়ু: জরায়ু হল স্ত্রী প্রজনন তন্ত্রের একটি ন্যাসপাতির আকারের অঙ্গ, যা প্রগতিশীল মহিলা প্রজনন অঙ্গ, যা মূত্রাশয় এবং মলদ্বার মধ্যে শ্রোণীতে অবস্থিত।

মাসিক চলাকালীন যোনিপথ (vagina) দিয়ে যে রক্ত বের হয় (menstrual blood) সেটা মুলত সাধারণ রক্ত এবং টিস্যুর (যা ও সময়ে জরায়ুর নির্দিষ্ট কাজ না হওয়ায় অপ্রয়োজনীয় আস্তরণ) সমন্বয়ে তৈরি। এই তরল জরায়ু থেকে ছোট্ট পথ cervix-এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং যোনি দিয়ে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।

human female reproductive system
নারীদের প্রজননতন্ত্র
Source: wikimedia through CDC

বেশিরভাগ সময়ই ঋতুস্রাবের রক্তপাত ৩ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত থাকে। এ সময় ১৫ গ্রাম থেকে ৭০ গ্রাম menstrual blood বা period blood নির্গত হতে পারে। গর্ভাবস্থায় ঋতুচক্র বন্ধ থাকে। ঋতুস্রাব বয়ঃসন্ধির সময় থেকে (menarche বা প্রথম ঋতুচক্র) শুরু হয় এবং মেনোপজের (menopause) সময় থেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

মেনোপজ: মেনোপজ হলো মহিলাদের বয়সে সাথে সাথে ডিম্বাশয় ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া। এতে তার মাসিক বা ঋতুচক্র বন্ধ হয়ে যায়। এবং গর্ভধারণে অক্ষম হয়ে যায়।

ঋতুচক্র কি?

ঋতুচক্র হলো প্রাপ্তবয়সী নারীদের দেহে ঘটে যাওয়া একটি চক্র যেটা নারীদের সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা প্রাপ্ত হবার পর থেকে প্রতিমাসে ঘটে থাকে। ঋতুস্রাব ঋতুচক্রের একটি অংশ এবং এবং এটি মেয়েদের শরীরকে গর্ভাবস্থার সম্ভাবনার জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করে। এ ঋতুচক্রের প্রথম দিনে রক্তপাত হয়ে থাকে। আর ঔ রক্তপাতের দিনকে ঋতুচক্রের দিন-১ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ চক্র গড়ে ২৮ দিন দীর্ঘ হয়ে থাকে। তবে, একটি চক্র ২৮ দিন থেকে ৩৫ দিন পর্যন্ত যে কোন দীর্ঘের হতে পারে। তবে চক্র ২৮ দিনের হলেও বেশিরভাগ সময়ই ঋতুস্রাবের রক্তপাত ৩ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত থাকে। ও সময়টাকেই আমরা সাধারণ ‘মাসিক’ বলে থাকি।

এ চক্রের সময় শরীরের বিভিন্ন হরমোন নিঃস্বরণের উত্থান এবং পতন ঘটে।

হরমোন: হরমোন হলো দেহের বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত তরল যেটা রক্তে মিশে দেহের অভ্যন্তরীন বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে।

ঋতুচক্র হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। পিটুইটারি গ্রন্থি দ্বারা উৎপাদিত লুটেইনাইজিং (luteinizing) হরমোন এবং ফলিকল-উত্তেজক (follicle-stimulating) হরমোন ডিম্বস্ফোটনে (ovulation) প্রভাব ফেলে। এই হরমোনদ্বয় ডিম্বাশয়কে উদ্দীপিত করার সেক্স হরমোন ইস্ট্রোজেন (estrogen) এবং প্রজেস্টেরন (progesterone) উৎপাদন করতে প্রভাব ফেলে। এই ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন জরায়ু এবং স্তনদ্বয়কে সম্ভাব্য নিষেকে জন্য প্রস্তুত করতে  করে। [১]

ডিম্বাশয়: ডিম্বাশয় ডিম্বাণু উৎপাদনকারী একটি প্রজনন অঙ্গ এবং এটি স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের একটি অংশ।

নিষেক: নিষেক হলো একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যাতে পুং এবং স্ত্রী গ্যামেট (ডিম্বানু এবং শুক্রানু) মিলনের মধ্য দিয়ে একই প্রজাতির নতুন একটি জীব উৎপাদনের সূত্রপাত ঘটায় এবং কালক্রমে ভ্রূণ গঠন করে।

ঋতুচক্রের সময় কি ঘটে?

ঋতুচক্রের প্রথম অর্ধেকে নারীর দেহের ইস্ট্রোজেন হরমোন লেভেল বাড়তে থাকে আর এর প্রভাবে জরায়ুর আস্তরণ বৃদ্ধি পায় এবং পুরু হয়ে যায়। এদিকে পিটুইটারি থেকে নিঃসৃত ফলিকল-উত্তেজক (follicle-stimulating) এর প্রভাবে একটা ডিম (ডিম্বানু) যেকোনো একটা ডিম্বাশয়ে mature হতে শুরু করে। মেয়েদের ঋতুচক্রের ১৪ দিনের আশেপাশে লুটেইনাইজিং (luteinizing) হরমোনের প্রভাবে ডিমটি (ডিম্বানু) ডিম্বাশয় থেকে বের হয়ে যায়। একে ডিম্বস্ফোটন বা ovulation বলে।

ঋতুচক্রের দ্বিতীয় অর্ধেকে ডিম্বকটি ফ্যালোপিয়ান নল (fallopian tube) থেকে জরায়ুতে ভ্রমণ করে। এদিকে এসময় প্রজেস্টেরন (progesterone) হরমোন বেড়ে যায় আর হরমোনটি জরায়ুর আস্তরণকে (lining) গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করে।

এ সময়ের মধ্যে যদি কোনো শুক্রানু (যৌন মিলনে পুরুষ থেকে যদি শুক্রানু নারীরে জরায়ুতে যায়) এসে ডিম্বানুকে নিষিক্ত করতে পারে এবং সেই নিষিক্ত ডিম যদি জরায়ুর আস্তরনের সাথে ভালোমত সংযুক্ত হতে পারে, তখনই গর্ভাবস্থা তৈরি হয়, অর্থাৎ সেই নারী তখন গর্ভবতী। যদি ডিম্বকটির নিষেক না ঘটে তাহলে হয় সেটা দ্রবীভুত হয়ে যায় অথবা শরীর দ্বারা শোষিত হয়ে যায়। এখন যদি গর্ভাবস্থা তৈরি না হয় তাহলে ইস্ট্রোজেন (estrogen) এবং প্রজেস্টেরন (progesterone) হরমোন লেভেল কমে যায় এবং জড়ায়ুর সেই পুরু আস্তরণটি পরিভ্রষ্ঠ হয়ে যায় পিরিয়ডের সময়।

ঋতুচক্রের এই সময় জড়ায়ুর সেই পুরু আস্তরণটি অর্থাৎ টিস্যু এবং সাথে কিছু রক্ত যুক্ত হয়ে যোনিপথ (vaginal canal) দিয়ে বের হয়ে যায়। একটা নারীর পিরিয়ড প্রতিমাসে এরকম নাও হতে পারে, এমনকি অন্য কোনো নারীর সাথে নাও মিলতে পারে। পিরিয়াডের সময় রক্তপাত হালকা, মাঝারি বা, ভারিও হতে পারে। এবং ঋতুস্রাবের সময়কালও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন হতে পার। বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই ৩ থেকে ৫ দিন হয়ে থাকে। তবে ২ থেকে ৭ দিনের ঋতুস্রাবও স্বভাবিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

read more.....

একটি প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের মাসিক শুরুর প্রথম কয়েক বছর মাসিক অনিয়মিত হতে পারে। আবার মেনোপজের (menopause) এর আগেও অনিয়মিত হতে পারে। দুটো ক্ষেত্রেই স্বভাবিক। অনেক ক্ষেত্রে অনিয়মিত পিরিয়ডের জন্য ডাক্তার জন্ম নিয়ন্ত্রণ ঔষধ সেবনে পারামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।

স্যানেটারি প্যাড বা ট্যাম্পন (tampon) পরিয়ড ব্লাড শুষে নেয়ার জন্য কটন বা অন্য কোনো বিশোষক উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। এই স্যানেটারি প্যাড নারীরা তাদের আন্ডারপ্যান্টের নিচে বা যোনিতে ট্যাম্পন সন্নিবেশ করতে পরে।

নারীদের পিরিয়ডের সময় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমর: তীব্র ব্যাথা, ভারী রক্তপাত, অথবা পিরিয়ড স্কিপ করে যাওয়া। নিচে কয়েকটি সম্ভাব্য কারণ তুলে ধরা হলো।

অ্যামেনোরিয়া (Amenorrhea)

এই শব্দটি ২ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

১. যাদের বয়স ১৬ বছর পার হয়ে যাবার পরও এখন পিরিয়ড শুরু হয় নি।

. যাদের নিয়মিত পিরিয়ড হতো কিন্তু হটাৎ করে বেশ কিছুদিন যাবৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে আছে।

অ্যামেনোরিয়া উল্লেখ করার মতো বেশ কয়েকটি কারণ গুলোর মধ্য গর্ভাবস্থা, বুকের দুধ খাওয়ানো, গুরুতর অসুস্থতার জন্য সৃষ্ট আকাশপাতাল ওজন হ্রাস, খাদ্যাভ্যাসের বিশৃঙ্খলা, অতিরিক্ত ব্যায়াম, অথবা মানসিক চাপ উল্লেখযোগ্য [২]। এর জন্য হরমোনজনিত সমস্যা (পিটুইটারি, থাইরয়েড, ডিম্বাশয় বা অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি) বা প্রজনন অঙ্গের বিভিন্ন সমস্যা জড়িত থাকতে পারে।

ডিসমেনোরিয়া (Dysmenorrhea)

এটি মাসিকের সময় ‘প্রচন্ড ব্যথা’ হিসাবে উদ্ভাসিত হয় [৩]। এর জন্য প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন (prostaglandin) নামক হরমোন দায়ী। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করা যেতে পারে। অনেক সময় জরায়ু ফাইব্রয়েড বা এন্ডোমেট্রিওসিস এর মতো রোগও দায়ী হয়ে থাকে।

অস্বাভাবিক জরায়ু রক্তপাত

কীভাবে জানা যেতে পারে যে নারীর জরায়ু রক্তপাত অস্বাভাবিক? কিছু বিষয় লক্ষনীয় হলে অস্বাভাবিক রক্তপাত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। তো এর মধ্যে; অত্যন্ত ভারী রক্তক্ষরণ হচ্ছে কি না সেটা লক্ষ্য করা, বিশেষ করে লম্বা মাসিক (যেটাকে menorrhagia বলা হয়, সাধারণত ৭ দিনের বেশ রক্তক্ষরণ হলে সেটাকে menorrhagia, প্রতি ২০ জনের এক জন নারীর উক্ত সমস্য বিদ্যমান), খুবই অল্প বিরতিতে পুনরায় মাসিক শুরু এবং পিরিয়ডের মাঝে রক্তপাত [৪] ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। কিশোরীদের মাসিক শুরুর প্রথমদিকে এবং মেনোপজের কাছাকাছি সময়ে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে প্রায়ই menorrhagia এবং অনিয়মিত চক্রের সৃষ্টি হয়। এটাকে অনেক সময় dysfunctional uterine bleeding (DUB) ও বলা হয়। অস্বাভাবিক রক্তপাতের অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে জরায়ুর ফাইব্রয়েড এবং পলিপ উল্লেখযোগ্য।

একটি মেয়ে তার প্রথম পিরিয়ড যে বয়সে পায়?

প্রথম দিকের ঋতুস্রাবকে অর্থাৎ ঋতুচক্রের শুরুর দিকটাকে মেনার্চে (Menarche) নামেও ডাকা হয়। বাংরাদেশে গড়ে একটি মেয়ের ঋতুস্রাব শুরু হয় ১২ বছর বয়সে [৫][৬]। কিন্তু, এর মানে এই নয় যে সব মেয়ের একই বয়সে শুরু হবে। একটি মেয়ের ৮ থেকে ১৬ বছর বয়সের মধ্যে যে কোনও সময় ঋতুস্রাব শুরু হতে পারে। ঋতুস্রাব ততক্ষণ হবে না যতক্ষণ না একটি মেয়ের প্রজনন তন্ত্রের সমস্ত অংশ পরিপক্ক হয়ে যায় এবং একসাথে কাজ করে।

একজন নারীর পিরিয়ড কত বছর পর্যন্ত থাকে?

মহিলারা সাধারণত মেনোপজ অবধি পিরিয়ড থাকা চালিয়ে যান।  মেনোপজ সাধারণত ৫১ বছর বয়সের আসেপাশে সময়ে ঘটে[৭]। এর মানে হল যে তখন সে আর ডিম্বানু (ডিম উৎপাদন) করদে পরবে না, অতএব আর গর্ভবতী হতে পারবে না।

Read more......

ঋতুস্রাবের শুরুর মত, মেনোপজ নারী থেকে নারী ক্ষেত্রে পরিবর্তিত হতে পারে। কিছু নারীদের অস্ত্রোপচার বা অন্যান্য চিকিৎসার ধরন, এমনকি অসুস্থতার কারণে তাড়াতাড়ি মেনোপজ হযতে পারে।

কখন পিরিয়ড সম্পর্কে একজন হেল্থ কেয়ার প্রোভাইডারকে দেখা হবে?

নিম্নলিখিতগুলির জন্য আপনার স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করা উচিত:

  • আপনার যদি ১৬ বছর বয়সের মধ্যে ঋতুস্রাব শুরু না হয়।
  • যদি আপনার পিরিয়ড হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়।
  • আপনি যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি দিন রক্তপাত হয়ে থাকে।
  • আপনার যদি অতিরিক্ত রক্তপাত হয়ে থাকে।
  • আপনি যদি ট্যাম্পন ব্যবহার করার পর হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন।
  • আপনার যদি দুইটি পিরিয়ডের মঝের সময়ে রক্তপাত হয় (মাত্র কয়েক ফোঁটার বেশি গলে)।
  • আপনার পিরিয়ডের সময় যদি তীব্র ব্যথা অনুভব হয়।

কতবার প্যাড/ট্যাম্পন পরিবর্তন করা উচিত?

স্যানিটারি ন্যাপকিন (প্যাড) প্রয়োজনমত পরিবর্তন করা উচিত, সাধারণত প্যাড ঋতুস্রাব প্রবাহে সম্পূর্ণ ভিজে যাওয়ার আগে। ট্যাম্পন অন্তত ৪ থেকে ৮ ঘন্টা অন্তর পরিবর্তন করা উচিত। নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে যে আপনি আপনার প্রবাহের জন্য প্রয়োজনীয় শোষণ ক্ষমতার ট্যাম্পন ব্যবহার করেন।

আপনি যদি ঋতুস্রাব এবং ট্যাম্পন ব্যবহার করার সময় নিম্নলিখিত লক্ষণগুলির কোন একটি অনুভব করেন, তাহলে অবিলম্বে আপনার স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারীর সাথে যোগাযোগ করা উচিত:

  • হঠাৎ তীব্র জ্বর
  • পেশীতে প্রচন্ত ব্যথা
  • ডায়রিয়া
  • মাথা ঘোরা এবং/অথবা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
  • সানবার্নের মত ফুসকুড়ি
  • গলা ব্যথা
  • রক্তাক্ত চোখ

আজকের আলোচনা অর্থাৎ ‘মেয়েদের ঋতুস্রাব এবং ঋতুচক্র কী এবং কীভাবে কাজ করে?’ এখানেই শেষ করছি। আর Female Reproductive Endocrinology নিয়ে পরে অ্যাডভান্স পর্যায়ে বিস্তারিত আলোচনা করে যেতে পারে।

তথ্যসুত্র:

১. Barbieri RL. The endocrinology of the menstrual cycle. Methods Mol Biol. 2014;1154:145-69.

https://doi.org/10.1007/978-1-4939-0659-8_7

২. Bernardi M, Lazzeri L, Perelli F, Reis FM, Petraglia F. Dysmenorrhea and related disorders. F1000Res. 2017;6:1645.

https://dx.doi.org/10.12688%2Ff1000research.11682.1

৩. Heiman DL. Amenorrhea: Evaluation and Treatment. American Family Physician.

৪. Whitaker L, Critchley HO. Abnormal uterine bleeding. Best Pract Res Clin Obstet Gynaecol. 2016;34:54-65.

https://doi.org/10.1016/j.bpobgyn.2015.11.012

৫. Adams hillard PJ. Menstruation in adolescents: what’s normal?. Medscape J Med. 2008;10(12):295.

৬. Menstrual hygiene management among Bangladeshi adolescent schoolgirls and risk factors affecting school absence: results from a cross-sectional survey. BMJ Open. 2017; 7(7): e015508

https://dx.doi.org/10.1136%2Fbmjopen-2016-015508

৭. Gold EB. The timing of the age at which natural menopause occurs. Obstet Gynecol Clin North Am. 2011;38(3):425-40.

https://dx.doi.org/10.1016%2Fj.ogc.2011.05.002

৮. The National Women’s Health Information Center – NWHIC


Post a Comment

Previous Next

نموذج الاتصال