বিগ ব্যাং অনুযায়ী শূন্য থেকে মহাবিশ্বের সৃষ্টি । কখনো কি ভেবেছেন শূন্য থেকে সৃষ্ট পদার্থে ভর এলো কিভাবে?
হিগস বোসন কণা বা ঈশ্বর কণা হলো ১৯৬৪ সালে স্যার পিটার হিগস এর নামানুসারে তার দ্বারা ইঙ্গিতকৃত কণা। পরে ২০১২ সালে এটি আবিষ্কৃত হলে স্যার পিটার হিগস নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। মহাবিশ্বের সূচনালগ্নে নিউক্লিয়ার ফ্লাকচুয়েশন এর মাধ্যমে শূন্য থেকেই মৌলিক কণা উৎপন্ন হয়। বিগ ব্যাং এর আগে পুরো বিশ্বভ্রহ্মান্ড একটি পরমানুর চেয়েও বিলিয়ন বিলিয়ন গুণ ছোট জায়গায় ছিল।
এর ঘনত্ব ও তাপমাত্রা ছিলো অসীম। তাই একে সিঙ্গুলারিটি বলা হয়।সেখানে কোন পদার্থ ছিলো না সম্পূর্ণটাই ছিলো শক্তি।মহাবিশ্বের বয়স যখন কয়েক বিলিয়ন ভাগের এক ভাগ বা প্লাঙ্ক টাইম তখন শক্তি থেকে পার্টিকেল এবং এন্টি পার্টিকেল তৈরি হতে লাগল এবং পরস্পর ধ্বংস হয়ে আবার শক্তিতে রূপান্তর হতে লাগল।বিস্ময়কর ভাবে প্রতি ৩০০ মিলিয়ন পার্টিকেল এবং এন্টি পার্টিকেল এর ভাঙন গড়নে ১টি করে কোয়ার্ক থেকে যাচ্ছিল। যা ইতিমধ্যে আবিষ্কৃত পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা। এর পরে কোয়ার্ক একত্রিত হয়ে প্রোটন ও নিউট্রন তৈরি করে এবং মহাবিশ্বের ২ মিনিট বয়সে প্রথম বারের মতো D (ডিউটেরিয়াম) উৎপন্ন হয়।এরপর কয়েক হাজার বছর পর ইলেক্ট্রন যুক্ত হয়ে চার্জ হীন পরমানু গঠিত হতে লাগল।
স্যার পিটার হিগস
ভরহহীন অবস্থা থেকে উৎপন্ন এসব পরমানুর ভরের জন্য দায়ি হিগস বোসন কনা। যে সকল কনার স্পিন ০ তাদেরকেই বোসন কনা বলে ( যা বাঙালি বিজ্ঞানি সত্যেন বোস আবিষ্কার করেন )।। অর্থাৎ এই কনা একবার ঘুরতে শুরু করলে আর পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসে না। এই হিগস বোসন কণা ছাড়া কোন কিছুরই ভর থাকা অসম্ভব। ধারনা করা হয়,আমাদের এই জগয়ে আছে অসংখ্য হিগস ফিল্ড যেখনে অবস্থান করে হিগস বোসন কনা। এই কনার মধ্য দিয়ে গতিশীল বস্তু যত বেশি বাধাগ্রস্থ হয় ওই পদার্থের ভরও তত বেশি হয়। তাই বাধাপ্রাপ্ত না হওয়া ফোটোন এর স্থির ভর শূন্য। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে এই ঈশ্বর কণা নিজের ভর পরিবর্তন এর মাধ্যমে অন্তিম এর দিকে ধাবিত হচ্ছে। যা বিশ্বভ্রহ্মান্ডের অন্তিম গতি নির্দেশ করে।এবার আগের কথায় আসি । ভরযুক্ত পরমানু সমূহ ওই ক্ষুদ্রতম জায়গায় আবদ্ধ হতে থাকে এবং প্রচন্ড ভর,অসীম তাপ ও ঘনত্বের ফলে বিস্ফোরিত হয়ে এ মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়।এই বিস্ফোরণের নামই বিগ ব্যাং।